নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে গোটা দেশে মোতায়েন করা হচ্ছে ১,৮৯,০০০ পুলিশ কর্মী। সেই সঙ্গে দাগি অপরাধীরা যাতে অশান্তি পাকাতে না পারে তার জন্য বিশেষ নজরদারিও চালানো হচ্ছে। জামিন পেয়ে যে সব দুষ্কৃতী বাইরে রয়েছে তাঁদের উপরেও বিশেষ নজরদারি চলছে। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অপারেশন) আনোয়ার হোসেন।
ভোটের প্রচার পর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাসকদল আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সন্ত্রাস শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন নির্দল প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর এবং হুমকি দেওয়া চলছে। গতকাল শুক্রবার থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে মোতায়েন হচ্ছে সেনা জওয়ানরা। তবুও ভরসা পাচ্ছেন না নির্দল ও অন্যান্য প্রার্থীরা। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে শাসকদল আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ওসি এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত।
যদিও এদিন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, আসন্ন ভোটে নিরেপক্ষ থাকবে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সব প্রার্থীই সমান। প্রচারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও প্রার্থী বাধা না পান, তা নিশ্চিত করতে নিচুতলার পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা হারানোর অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বদলি বা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এরপরও তদন্ত হচ্ছে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। নিরপেক্ষতা হারানোর প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’