নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কিশোরগঞ্জের রাখুয়াইলের পাগলা মসজিদের খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ চার মাস বাদে শনিবার সকালে খোলা হয়েছিল মসজিদের দানবাক্স। আর আটটি দানবাক্স (লোহার সিন্দুক) খুলে মিলেছে ১৫ বস্তা টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপোর গয়না। দিনভর গোনা শেষে রাতে জানানো হয়েছে, দানবাক্সে জমা পড়েছে তিন কোটি ৫৮ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। জমা পড়া টাকা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্ত ছুটে আসেন। শুধু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরাই নন, হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের মানুষও ছুটে আসেন। মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। অনেকেই মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় দানবাক্সে বিশেষ অনুদান দিয়ে যান। প্রতি তিন মাস অন্তর ওই দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। করোনার বেনজির তাণ্ডবের কারণে চার মাস ছয় দিন বাদে এদিন মসজিদের আটটি সিন্দুক খুলতেই বেরিয়ে এল ১৫ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ সোনা ও রুপোর গয়না।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি তথা কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহম্মদ শামীম আলম জানিয়েছেন, ‘ এদিন সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ দানবাক্সে জমা পড়া টাকা গোনার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় এক ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে পাগলা মসজিদ চত্বরে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক ও পড়ুয়ারা টাকা গোনার দায়িত্ব পালন করেন। রাত পৌনে নয়টা নাগাদ টাকা গোনার কাজ শেষ হয়।’
গত বছরের ৬ নভেম্বর শেষ বারের মতো পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা হয়েছিল। সেবার ৩ কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছিল। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।