নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ তিন যাত্রী। জানা যাচ্ছে, অনেক মৃতদেহই রাতের অন্ধকারে সরিয়ে দিয়েছে বলে ঢাকা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে সায়দাবাদ এলাকায় চলন্ত ট্রেনে তিনটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
শুক্রবার রাজবাড়ি স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন রাজবাড়ি শহরের লক্ষ্ণীকোল গ্রামের এলিনা ইয়াসমিন, খাসগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি ও কালুখালি উপজেলার আবু তালহা। শুক্রবারের সেই ঘটনার ২২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এই তিন জনের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজ এলিনার ভাসুর মুরাদ হোসেন জানান, দশ দিন আগে এলিনার বাবা মারা যাওয়ায় ঢাকা থেকে রাজবাড়িতে এসেছিল এলিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে ফিরছিল ও। এলিনার সঙ্গে ওর পাঁচ মাসের সন্তানও ছিল। পাঁচ মাসের শিশুটির খোঁজ পাওয়া গেলেও এলিনার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, আরেক নিখোঁজ চন্দ্রিমা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ফার্মাসিস্ট হিসাবে পডাশোনা করছিল। চন্দ্রিমার ভাই শোবন প্রামাণিক জানান, ‘শুক্রবার বেনাপোল এক্সপ্রেসে ফিরছিল চন্দ্রিমা। দুর্ঘটনার পর থেকে ওর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু কোথাও কোনও খোঁজ পাইনি।‘
অন্যদিকে আরেক নিখোঁজ আবু তালহার ভাই আশিক হাসান সীমান্ত জানান, ‘আমার খুড়তোতো ভাই আবু তালহা ও আবু তাসলাম ঢাকা যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাসলাম নেমে যেতে পেরেছে। কিন্তু তালহা নামতে পারেনি। এরপর থেকে আবু তালহার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।‘