28ºc, Haze
Friday, 1st July, 2022 9:15 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঝড় বা তুমুল বৃষ্টি, কাটফাটা রোদ বা কনকনে ঠাণ্ডা- পদ্মা (Padma Bridge) সেতু নির্মাণের কাজ একদিনের জন্য বন্ধ থাকেনি। ভরা বর্ষায় পদ্মার খরস্রোত, বন্যা কিংবা করোনা মহামারি—কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। কিছু সময়ের জন্য কাজের গতি হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু কাজ বন্ধ হয়নি। সেতু নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িয়ে ছিলেন, তারা ক্লান্ত শরীরেও কাজ চালিয়ে গিয়েছেন।
সাধারণত সেতু লোহা অথবা কংক্রিটের হয়। কিন্তু পদ্মা সেতু (Padma Bridge)তৈরি হয়েছে লোহা এবং কংক্রিটের মিশ্রণে। সেতুর মূল কাঠামো স্টিলের, যা স্প্যান হিসেবে পরিচিত। খুঁটি ও যানবাহন চলাচলের পথ কংক্রিটের। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি খুঁটির সঙ্গে স্প্যানগুলো জোড়া দেওয়ায় পুরো সেতু দৃশ্যমান হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতুর(Padma Bridge) প্রথম স্প্যানটি বসে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ওই স্প্যান বসানো হয়। দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে এর ১১৯ দিন পর। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই স্প্যান বসানো হয়। ওই বছর সব মিলিয়ে চারটি স্প্যান বসে। পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা (Dhaka) থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা।২০১৬ সালে এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল উদ্বোধন করা হয় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
আরও পডু়ন ভয়াবহ বন্যা: বিমানের পরে বন্ধ ট্রেন-বাস, দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন সিলেট