নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অপহরণ করে অনলাইনে শিশু বিক্রির চক্রের পর্দাফাঁস করল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু বিক্রির চক্রে জড়িত পাঁচ জনকে। সেই সঙ্গে অপহরণের ২২ দিন বাদে তিন বছর বয়সী এক শিশুকেও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের মোডাস অপারেন্ডি দেখে র্যাবের দুঁদে গোয়েন্দাদেরও চক্ষু চড়কগাছ।
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান জানিয়েছেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের কাছে খেলা করছিল সাত থেকে আট শিশু। এক ব্যাক্তি ওই সময়ে ঘটনাস্থলে এসে সব শিশুকে চকলেট বিলি করে। এর পরেই তিন বছরের শিশু সিদ্দিককে বাজার থেকে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন অপহৃত শিশুর মা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অপহৃত শিশু উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়। অপহরণকারী পীযূষ কান্তি পালকে শনাক্ত করা হয়।
একাধিক সোর্সের মাধ্যমে র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অনলাইনে দীর্ঘদিন ধরেই শিশু বিক্রির চক্র চালাচ্ছেন পীযূষ কান্তি পাল ও তাঁর স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। অপহৃত শিশু সিদ্দিককে প্রণিল ল পাল নাম দিয়ে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী বেবি সরকার দম্পতির কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। আর ওই বিক্রির কাজে সহযোগিতা করেছে সুজন সুতার নামে এক দালাল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে শাহবাগ থেকে সুজনকে আটক করা হয়। তাকে জেরা করে হদিশ মেলে শিশুটিকে কেনা পল্লবকান্তি বিশ্বাস ও বেবি সরকারের। ওই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু সিদ্দিককে (৩) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্য একটি দল সাভার থেকে অপহরণকারী চক্রের হোতা পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালকে আটক করে।