নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাত বাংলাদেশি অভিবাসী। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরানো সম্ভব হলো না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়লেন ওঁরা। মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ল্যাম্পাদুসার মেয়র সালভাদর মার্টিওলো। যদিও ভাগ্য ফেরাতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়া সাত বাংলাদেশির পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’–এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাড়তি মাইনে ও সুবিধার বিপদসঙ্কুল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকেই পৌঁছে যাচ্ছেন ইউরোপে। তবে অভিবাসী তথা শরণার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের দেশ হলো ইতালি। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৭৫১ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালির বিভিন্ন বন্দরে অবতরণ করেছেন। তবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় অনেকের সলিল সমাধিও ঘটছে।
সিসিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল অ্যাগ্রিগেন্টোর প্রশাসনিক আধিকারিক লুইগি প্যাট্রোনাগ্গিও জানিয়েছেন, ইতালিতে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশে লিবিয়া থেকে নৌকায় চেপে প্রায় ২৮০ জন অভিবাসী শরণার্থী পাড়ি জমিয়েছিলেন। অধিকাংশই বাংলাদেশ ও মিশরের বাসিন্দা। ল্যাম্পাদুসার কাছে জনবসতিহীন দ্বীপ ল্যাম্পিওয়নের উপকূল থেকে ১৮ মাইল দূরে একটি নৌকাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় উপকূলরক্ষীদের। অভিবাসীদের উদ্ধার অভিযানে নামেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে সাত বাংলাদেশির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।