নিজস্ব প্রতিনিধি, লাকসাম: আর পাঁচটা দিনের মতো বুধবারও বই-খাতার ব্যাগ পিঠে চাপিয়ে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল মীম, তাসফিয়া ও লিমা। তিন জনেই প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী। যাত্রাপথেই যে ওৎ পেতে রয়েছে সাক্ষাৎ যমদূত, ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি ওরা। আপন মনেই হেঁটে যাচ্ছিল। কিন্তু বিজয়পুর রেল ক্রসিংয়ের কাছে যেতেই বিপত্তি। আচমকাই দ্রুতগতিতে আসা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে তিনজনকেই পিষে দিয়ে চলে গেল। রেললাইনের উপরে পড়ে রইল তিন পড়ুয়ার ছিন্নভিন্ন নিথর দেহ।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ। দুর্ঘটনার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেললাইনের পাশাপাশি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কও অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন চলাচল যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনই আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিন পড়ুয়া কীভাবে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট পেরিয়ে লাইনের উপরে উঠে এলো, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। চালকের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
লাকসাম জিআরপি’র ওসি জসিমউদ্দীন খন্দকার জানান, এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস নিচের ট্রেনে কাটা পড়ে একইসঙ্গে তিন খুদে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তিন জনেই বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।