আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। গত বছর এই সময় করোনার দাপট থাকায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কার্যত নমো নমো করে পালিত হয়। পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হওয়ায় শনিবার বাংলাদেশ কার্যত দ্বিতীয়বার বসন্তোৎসবে মেতে উঠল।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথম মেনে স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, শিরীন চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আওয়ামি লিগের প্রবীণ নেতা-সহ সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধান। মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ নানা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর তরফ থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম দেওয়া হয়। পরে স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা স্মৃতিসৌধে বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বেলা যত গড়িয়েছে, স্মৃতিসৌধে মানুষের ভীড় তত বেড়েছে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পডুন ৫১ বছর আগের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে শুক্রবার এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে গোটা বাংলাদেশ