নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০১৪, ২০১৮ সালের পরে তৃতীয়বার ‘প্রহসনের ভোটের’ সাক্ষী হতে চলেছে দেশবাসী। ভোটের ময়দানে রয়েছেন শাসকদল আওয়ামী লীগ, তাদের লেজুড় সংগঠন আর নির্দল প্রার্থীরা। তবুও রবিবারের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। শনিবার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে খোলাখুলি তিনি স্বীকার করেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা কঠিন হবে। শুধু তাই নয়, বিএনপি এবং দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি ভোট বয়কট করায় নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্বীকারোক্তি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আগামিকাল রবিবার দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হবে। আর ওই ভোটের কয়েক ঘন্টা আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর সহযোগী চার নির্বাচন কমিশনার। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাঁর কথায়, ‘ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে চান। কিন্তু যা চলছে তাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা কঠিন।’
ইতিমধ্যেই বিএনপি-সহ দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। সেই ডাকে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। ‘প্রহসনের ভোট’ রুখতে এদিন সকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার হরতালও শুরু হয়েছে। ফলে রবিবার কত শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের জোর করে ক্ষমতায় থাকার ভোটে অংশ নেবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও স্বীকার করেছেন, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ভোটে অংশ নিলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হতো।