নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: একজনের বয়স ৮৫। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে নিঃসঙ্গ। সন্তানরা তাদের পরিবার ও কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত। দেখাশোনা করার কেউ নেই। আর অন্যজনের বয়স ৬৫। স্বামী হারিয়ে কার্যত একা। সঙ্গী বলতে কেউ নেই। শেষ পর্যন্ত ছাদনাতলায় বাঁধা পড়লেন দুই নিঃসঙ্গ। মঙ্গলবার জীবন সায়াহ্নে পৌঁছনো দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নতুন সংসার পাতার সাক্ষী থাকল ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রপাশা গ্রামের গণ্যমান্য থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দারা। আর ৮৫ বছরের পাত্রের সঙ্গে ৬৫ বছরের পাত্রীর বিয়ের খবর দাবানলের মতোই ছড়িয়েছে আশেপাশের গ্রামে। অনেকেই নবদম্পতিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন ইন্দ্রপাশা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রপাশা গ্রামের বাসিন্দা ৮৫ বছরের মোকছেদ আলির ছোট্ট দোকান রয়েছে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে ওই দোকানই তাঁর ঘরবাড়ি। দোকানের পিছনে ছোট একটি ঘরেই দিন কাটান। । জীবনের শেষের দিনগুলি যাতে নিঃসঙ্গ হয়ে কাটাতে না হয় তার জন্য গ্রামের বাসিন্দা বিধবা শিউলী বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব ফেরাননি ৬৫ বছরের শিউলী বেগম। দুজন বিয়েতে সম্মত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজি ডাকেন। মঙ্গলবার রাতে ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে নতুন জীবনসঙ্গীর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মোকছেদ আলী।
মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দুজনেরই দেখাশোনা করার কেউ নেই। দুজনেরই বয়স হয়েছে। শেষ বয়সে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা যাতে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেই প্রার্থনাই করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।