নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: এক যুগ বাদে যৌথ নদী কমিশনের (Joint River Commission) বৈঠকে দ্রুতই তিস্তা চুক্তি (Teesta Treaty) সম্পন্নের দাবি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। কিন্তু মোদি সরকারের (Modi Government) পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয়নি। শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের। আর তাতেই কার্যত চরম ক্ষুব্ধ সরকারের শীর্ষ মহল। পাল্টা হিসেবে ভারতকে দেওয়া বেশ কিছু সুযোগ প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে পারে ঢাকা। যদিও মুখ পুড়িয়ে নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পরে জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী (Water Resouce State Minister) জাহিদ ফারুখ (Jahid Farookh) দাবি করেছেন, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।
দীর্ঘ এক যুগ বাদে নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের (Joint River Commission) বৈঠক বসেছিল। ওই বৈঠক ঘিরে আশাবাদী ছিল ঢাকা। গত ২৩ অগস্ট দুই দেশের জলসম্পদ সচিব এবং ২৫ অগস্ট জলসম্পদ মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন। দুই বৈঠকেই তিস্তাসহ গঙ্গা ও কুশিয়ারার জল নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ কীভাবে জলের সঙ্কটে ভুগছে তা স্বচক্ষে দেখার জন্য ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী জাহিদ ফারুখ। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে গোটা বাংলাদেশ ঘোরানোরও প্রতিশ্রুতি দেন। তবে গঙ্গাচুক্তি নবায়ন নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।
সূত্রের খবর, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যাতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য ভারতের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে করুণ আর্জি জানান বাংলাদেশের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। যদিও এ বিষয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ‘দেখছি’ বলে দায়সারা জবাব দিয়েছেন মোদি সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। আর তাঁর সেই জবাবেই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ মহল।