নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাত পোহালেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগেই ভোটারদের হুমকি দিতে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের নেতারা। নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে ভোটারদের বুথে আসার প্রয়োজন নেই বলে একাধিক জায়গায় ফতোয়া জারি করেছেন শাসকদল আওয়ামী লীগের নেতারা। শুধু তাই নয়, বক্সে ব্যালট পেপার ফেলার আগে নৌকা প্রতীকে যে ভোট দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের এজেন্টদেরও দেখিয়ে নিতে হবে বলেও ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ওই ফতোয়া সম্বলিত অডিও ক্লিপিংস। আওয়ামী লীগ নেতাদের সরাসরি হুমকির ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে শনিবার অভিযোগ করেছেন একাধিক নির্দল প্রার্থী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক অডিও কথোপকথনে শোনা যাচ্ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুর রহমান ফতোয়া জারি করে বলেছেন, ‘ যারা নৌকায় ভোট দিতে দ্বিধাবোধ করবেন তারা বুথে আসবেন না। ব্যালটে কাকে সিল মারবেন এটা যেন এজেন্ট বুঝতে পারে কাকে সিল মারলেন।’ এখানে না থেমে তিনি হুমকি দিয়েছেন, ‘মনে রাখবেন, ৭ তারিখের পরে ৮ তারিখ সকাল হবে। যারা নির্দেশ অমান্য করবেন, তারা নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব নেবেন।’
শুধু নাটোর নয়, দেশের আরও একাধিক জায়গায় শনিবার দুপুর থেকেই আওয়ামী লীগের গুন্ডারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দল এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীদের এজেন্ট হয়ে বুথে না বসার জন্যও শাঁসানি দেওয়া চলছে।