নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পুজোর মরসুম মিটে যাওয়ার পরে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হবে। আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। যদিও ডিসেম্বর নাকি জানুয়ারি, কোন মাসে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আভাস দেননি তিনি।
আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকেই একাদশতম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-সহ দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ জাতিসঙ্ঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে শেখ হাসিনা সরকারের উপরে ক্রমাগত চাপ দিয়ে চলেছে। যদিও শাসকদল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওযা হয়েছে, কোনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
তবে কবে ওই নির্বাচন হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শাসকদল চাইছে সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণের আগে ভোট হোক। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিংবা জানুয়ারির গোড়ার দিকে ভোট করানোর পক্ষপাতী তারা। এদিন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, আগামী নভেম্বর মাসেই ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে একটি অ্যাপ চালু করা হবে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। তাছাড়া ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে। ভোট লুঠ ঠেকাতে ভোটের আগের দিন নয়, নির্বাচনের দিন সকালেই ভোট কেন্দ্রগুলিতে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে। ওই অ্যাপ চালুর পরেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হবে।