নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: একই বিয়ের মণ্ডপে দুই প্রেমিকাকে সিঁদূর পরিয়ে দিয়ে জীবন সঙ্গিনী হিসেবে ঘরে তুলে গোটা দেশেই শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুরের বাসিন্দা রোহিনী চন্দ্র বর্মন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল ওই বিয়ে। নেটা নাগরিককরা কুর্নিশ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বউকে নিয়ে এক মাসও সংসার করতে পারলেন রোহিনী। বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ডিভোর্স দিলেন ছোট বউ মমতা রানী বর্মন। শনিবার বিকেলে রোহিনীর বাবা যামিনীকান্ত বর্মন ছেলের ডিভোর্সের কথা জানিয়েছেন। মমতার পরিবারের ইচ্ছেতেই ওই ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়ার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল রোহিনী চন্দ্র বর্মন ওরফে রনির। ৪-৫ মাস আগে দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের কাউকে কিছু জানাননি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে লক্ষ্মীদ্বার গ্রামের বাসিন্দা মমতা রায়ের (১৮) সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রনি। গত ১২ এপ্রিল রাতে নতুন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান রোহিনী। দুজনকে একত্রে দেখে ফেলে রনিকে আটকে রেখে পরদিন বিয়ে দেন তারা।
স্বামীর বিয়ের খবর শুনে প্রথম স্ত্রী ইতি রানী সটান হাজির হন শ্বশুরবাড়ি। শেষ পর্যন্ত গত ২০ এপ্রিল একই মণ্ডপে দুই প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদূর পরিয়ে দেন রনি। দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পরেই বাপের বাড়ি যান ছোট স্ত্রী মমতা। আর শ্বশুরবাড়ি ফেরেননি। উল্টে রনিকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়ে দেন। তবে কী কারণে এত দ্রুত এই বিবাহ বিচ্ছেদ তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে মমতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তার ভাই পলাশ রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বোনের ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’