-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 4:14 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ফের ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তবে দুই শর্তে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রথমত, বাড়িতে থেকেই তাঁকে চিকিৎসা করাতে হবে এবং দ্বিতীয় শর্ত হলো, কোনও ভাবেই তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তাঁকে ১৭ বছরের সাজা শুনিয়েছিল বিশেষ আদালত। সাজা ঘোষণার পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে যান। দুই বছরের বেশি জেলে কাটানোর পরে করোনা মহামারীর সময়ে সাজা স্থগিত রেখে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল সরকার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ জেলের বন্দিদশা ঘোচে বিএনপি চেয়ারপার্সনের। তার পর থেকে গত তিন বছর ধরে দফায় দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে জেলের বাইরেই রয়েছেন। যদিও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে পারছেন না। খালেদা জিয়া সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করলে ফের তাঁকে জেলে পাঠানো হবে হুমকি দিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ২৫ মার্চই বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। গত ৬ মার্চ খালেদার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার মির্জা ফের দিদির শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে সরকারের কাছে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান। সেই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েও আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও খালেদার মুক্তির মেয়াদ ফের ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলেও তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শেখ হাসিনা প্রশাসন।