এই মুহূর্তে




বাংলাদেশ সেনার বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ ফের দু’মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হল

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গদি আঁকড়ে রাখতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাসের জন্য বৃদ্ধি করল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আগামিকাল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আরও ৬০ দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থা‍ৎ আরও ৬০ দিন রাজপথে থাকার বিশেষ অধিকার পেল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষার দোহাই পেড়েই বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা বলে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের পাশাপাশি যে কোনও আন্দোলন মোকাবিলায় গুলিও চালানোর অধিকার রয়েছে তিন বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের।

গত বছরের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশ জুড়ে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ১৯ জুলাই সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়। মূলত পুলিশকে সাহায্যের জন্য সেনা সদস্যদের রাজপথে নামানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে উল্টো ফল হয়। রাজপথে নেমে আন্দোলনকারী ও জঙ্গিদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে সরাসরি মদত দিতে থাকেন জামায়াত ইসলামী মনোভাবাপন্ন সেনা আধিকারিক ও জওয়ানরা। ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙার কাজেও হাত লাগান সেনা সদস্যরা। এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলের উদ্যোগে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার হিসাবে পরিচিত ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর বাড়ি।

গত ৮ অগস্ট মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে সেনাবাহিনী ফের তাঁবুতে ফিরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁবুতে সেনা সদস্যদের ফেরাতে রাজি হননি সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। উল্টে ইউনূসকে চাপ দিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ক্ষমতা আদায় করে নেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর নৌ ‌ও বিমানবাহিনীর আধিকারিকদেরও বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার পর দফায় দফায় এক বছরের বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা রাস্তায় থাকলেও আইনশৃঙ্খলার বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। বরং দিনের পর দিন অবনতিই ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেনা সদস্যদের পুলিশের মতোই তোলাবাজি, গুন্ডামি করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সেনা সদস্যদের রাস্তায় রেখে কী লাভ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার মতোই গদি থেকে উচ্ছেদ করার ভয় দেখিয়ে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্ল্যাকমেল করছেন জামায়াত ইসলামীর কট্টর সমর্থক হিসাবে পরিচিত সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিসিবির মহিলা ক্রিকেটের প্রধান হলেন ইউনূসের ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ রুবাবা দৌলা

হাসিনার ফাঁসির রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ইউনূসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হিন্দুদের কচুকাটা করেছিলেন বাবা, শেখ হাসিনার মামলায় ছেলে সরকারি আইনজীবী

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংযমী প্রতিক্রিয়া চিনের

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ইউনূস সরকার

নবান্নে শাড়ি কিনে দেয়নি স্বামী, রাগে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্ত্রী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ