নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েও যে চোরাচালানকারীদের দৌরাত্ম্য রুখতে পারছে না বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। গত মাসে বিভিন্ন সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১৯ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জনসংযোগ আধিকারিক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, গোটা ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি মায়ানমার সীমান্তে ওই অভিযান চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭১৬ পিস ইয়াবা, চার কেজি ১৭০ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ), দুই কেজি ১০০ গ্রাম আফিম, ২৯ হাজার ৫৩৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ২০১ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ৭৯০ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৯০২ কেজি গাঁজা, ১০ কেজি ১২০ গ্রাম হেরোইন, এক কোটি ৫২ লাখ ৭৮৭টি ইনজেকশন। তাছাড়া পাঁচ কেজি ৮৭০ গ্রাম সোনা, ৪৬ কেজি ৬৫ গ্রাম রুপো, ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮৫টি কসমেটিকস সামগ্রী, ১২ হাজার ১৭৯টি ইমিটেশন গহনা, সাত হাজার ২৬৯টি শাড়ি, কষ্টিপাথরের মূর্তি।’
বিজিবির জনসংযোগ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ‘চোরাচালানে যুক্ত থাকায় ২৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া অনুপ্রবেশের দায়ে ২০৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল, একটি মেশিনগান, ১১ রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি ম্যাগাজিন।’