নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আইনের হাত কতটা লম্বা, তা ভালভাবেই টের পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর। তিনি প্রাক্তন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই। বিদেশে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাত তিনটে নাগাদ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা। গত বছরের তেসরা মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় প্রাক্তন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ফরিদপুরের দুই ভাই তথা শাসকদলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতি দমকন কমিশনের দায়ের করা মামলার জেরে দুজনেই বর্তমানে কারাগারে। বহুল আলোচিত ওই মামলায় নাম জড়ায় শেখ হাসিনার বেয়াই তথা প্রাক্তন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের। গত বছরের ৩ মার্চ বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
গত বছরের জুনেই অবশ্য ঢাকার কাফরুল থানায় দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে বাবরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেও প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই হওয়ার দৌলতে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বাবর। শেষ পর্যন্ত আচমকাই তাঁকে গ্রেফতার করা হলো। ফরিদপুর জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সবুজসঙ্কেত পাওয়ার পরেই সোমবার গভীর রাতে বাবরকে ঢাকার অভিজাত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।