নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নবমীর দিন দুপরেই আঁধার নেমে এল গোটা দেশে। জাতীয় গ্রিডের (national grid) একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ অধিকাংশ এলাকা দুপুর দুটোর পরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দেশের মোবাইল পরিষেবাও (Cell Phone Service) বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। কখন ফের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ মন্ত্রকের (Power Ministry) আধিকারিকরা। এদিকে আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে যাতে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (Dhaka Metropolitan Police) পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্ধের আগেই জেনারেটর চালুর জন্য পুজো কমিটিগুলির কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নবমী পুজোতে যখন মাতোয়ারা গোটা দেশ তখনই আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। দুপুর দুটো পাঁচ মিনিট নাগাদ রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সহ দেশের অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-র নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী (Yakub Elahi Chowdhury) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনে বিপর্যয় ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ওই সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে।’ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে মোবাইল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও (Hazrat Shahjalal International Airport) বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে। বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরি হয়।
অন্যদিকে আচমকা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা যাতে হামলা চালাতে না পারে তার জন্য রাজধানীর সব পুজোমণ্ডপে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police)। যে সব মণ্ডপে জেনারেটর নেই সেখানে সন্ধ্যার আগেই জেনারেটরের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মণ্ডপে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।