নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে ‘প্রহসনের ভোটে’ পরিণত করে গোটা বিশ্বেই মুখ পুড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। বুথ লুঠ, দেদার ছাপ্পার মতো ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ভোটদানের হার নিয়েও কারচুপি করেছে শেখ হাসিনার ক্রীতদাসে পরিণত হওয়া নির্বাচন কমিশন। আর এবার শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুললেন আওয়ামী লীগের লেজুড় সংগঠন হিসাবে পরিচিত জাতীয সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) প্রধান হাসানুল হক ইনু।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার ওই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবারেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দরবারে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিনের কাছে ২৩ হাজারের বেশি ভোটে হার স্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে। আর দেদার ছাপ্পা মেরে, ভোট লুঠ করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইনু।
তাঁর কথায়, ‘সাধারণ মানুষের ভোটে হারিনি। আমাকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। আমার সংসদীয় আসনে ১৬১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে অস্বাভাবিক ভোট হয়েছে। তার মধ্যে একটি কেন্দ্রে আমার প্রতিপক্ষ (আওয়ামী লীগের নির্দল প্রার্থী) পেয়েছেন ২,৮০০ ভোট। আর আমি পেয়েছি মাত্র ৮৫ ভোট। ভোটে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটা বিরাট অংশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাকে হারানোর জন্য কাজ করেছে। শুধু আমাকেই নয়, ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকেও একইভাবে হারানো হয়েছে। কারচুপির কথা জানালেও প্রশাসন কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।’ শুধু কারচুপি করে ভোটে হারানোর অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি ইনু। তিনি অভিযোগ, করেছেন, ‘ভোটের পরেই তাঁর সমর্থকদের উপরে হামলা চালাতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার দলের গুন্ডারা।’