-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:32 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রেল পরিষেবা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনের অভাব চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কীই আর করা যাবে। ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। বিদেশ থেকে রেল ইঞ্জিন কেনার মতো অর্থ নেই সরকারের। তাই খয়রাতি সাহায্য হিসেবে বিনা পয়সায় রেল ইঞ্জিন পেতে মোদি সরকারের কাছে করুণ আর্তি জানিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। আর বন্ধু দেশের সরকারের সেই আর্জি ফেরাতে পারেনি ভারতীয় রেল মন্ত্রক। মঙ্গলবার আরও ২০টি ডিজেল চালিত ব্রডগেজ ইঞ্জিন উপহার দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গেদে সীমান্ত দিয়ে ওই ২০টি ইঞ্জিন দর্শনায় এসে পৌঁছেছে। খয়রাতি উপহার প্রদানের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দেশে রেলপথে প্রতিদিনই যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের চাপ বেড়ে চলেছে। আর সেই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রেলমন্ত্রক। মান্ধাতা আমলের ইঞ্জিন দিয়ে পরিষেবা চালু রাখতে গিয়ে প্রতিদিনই বিড়মম্বনায় পড়তে হচ্ছে রেল আধিকারিকদের। প্রায়শই মাঝপথে বিগড়ে যাচ্ছে ইঞ্জিন। নতুন ইঞ্জিন কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মজুত নেই ভাঁড়ারে। গত ২০২০ সালে ভারত থেকে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন অনুদান হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ১ জুন নয়াদিল্লির রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আরও ২০টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ভারতীয় রেলওয়ে থেকে ২০টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই উপহার হিসেবে দেওয়া ইঞ্জিন বুঝে নেওয়ার নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে অনুরোধ জানানো হয়।