নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বঞ্চনার অবসানে নতুন নির্বাচন কমিশনে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধি রাখার জন্য সার্চ কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্টজনরা। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাতই করল না সার্চ কমিটি। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে জমা দেওয়া নামের তালিকায় কোনও হিন্দু কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধির নাম ছিল না। ফলে শনিবার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে ফের উপেক্ষিত থেকে গেলেন হিন্দুরা।
এদিন বিকালে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে দেশের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। বাকি চার নির্বাচন কমিশনার হলেন রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ আনিছুর রহমান। আগামী পাঁচ বছর তাঁরা দেশের বিভিন্ন ভোটের দায়িত্ব সামলাবেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের পাঁচ শীর্ষ পদে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজনই প্রাক্তন আমলা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও দুই নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ আনিছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। নতুন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা প্রাক্তন জেলা ও দায়রা জজ এবং আহসান হাবীব খান সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
দেশের নতুন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের বেছে নিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়েছিলেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে হিন্দু কিংবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। সেই বঞ্চনা ঘোচাতে নতুন নির্বাচন কমিশনে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল সার্চ কমিটির কাছে। এক ডজনের বেশি হিন্দু বিশিষ্টজনের নাম জমাও পড়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, নয়া নির্বাচন কমিশনে ঠাঁই হয়নি হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধির।