নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পথ দুর্ঘটনায় নটরডেম কলেজের পড়ুয়া নাঈম হাসানের মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবরোধ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু করল সহপাঠীরা। আর অবরোধ-অবস্থান কর্মসূচির ফলে গোটা রাজধানীতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে রাজধানী। নিরাপদ সড়ক ও সহপাঠী নাঈম হাসানের মৃত্যুর বিচারের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা।
বুধবার গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির জঞ্জালবাহী গাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসান। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় ঘাতক গাড়ির চালক তথা সাফাইকর্মী রাসেলকে (২৬)। সহপাঠীর মৃত্যুর খবর জানার পরেই বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন পড়ুয়াদের একাংশ। এদিন সকাল থেকে ফের মতিঝিল, গুলিস্তান, উত্তরা, আজিমপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শান্তিনগর, উত্তরা ও ফার্মগেটসহ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন নটরডেম কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আরও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা অবরোধ কর্মসূচিতে সামিল হন। অবরোধকারীরা স্লোগান তোলেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিশ’ ও ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।
দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ চলার ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, তেমনই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক। উত্তরা থেকে বনানী এবং উত্তরা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এবং আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে সাধারণ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অবরোধের সময়ে পড়ুয়াদের একাংশ বিভিন্ন গাড়ির নথিপত্রও পরীক্ষা করেন। একজন পুলিশ আধিকারিকের গাড়ির প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় মামলা করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের কাছে দাবি জানান। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়।