নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মোচা রবিবার দুপুরে আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ এবং ময়ানমারের মাঝামাঝি উপকূলবর্তী এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ কক্সবাজার-উত্তর ময়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোচা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে কক্সবাজার উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল মোচা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে মোচা ময়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর ময়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদসংকেত জারি করা হয়েছে। মোচার গতিবেগ ঘন্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।