নিজস্ব প্রতিধি, হবিগঞ্জ: স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা লুকিয়ে প্রেম করে তানিয়া বেগমকে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় রহমান। আর তার পরেই বিপত্তি। হৃদয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কথা জানতে পারার পরেই মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে আপত্তি জানান তানিয়ার পরিজনরা। মেয়েকে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণ করে দেন। পরিবার বিয়ে না মেনে নেওয়ায় অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন হৃদয়। চোখের সামনে স্বামীকে ছটফট করতে দেখে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তানিয়াও। রবিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের লাখাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের টাউনশিপে। নব দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সোমবার লাখাই থানার ওসি মহম্মদ নুনু মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কিশোরগ্জের মিঠাইমন উপজেলার বাসিন্দা হৃদয় রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সূত্রে আলাপ হয় লাখাই উপজেলার টাউনশিপের বাসিন্দা তানিয়ার। তার পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৩ দিন আগে তানিয়াকে বিয়ে করেন হৃদয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। সন্দেহ হওয়ায় তানিয়ার পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এর পরে মেয়েকে হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলে। কিন্তু তানিয়া ও হৃদয় কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে শ্বশুরবাড়ি হাজির হন হৃদয়। কিন্তু মেয়েকে স্বামীর সঙ্গে যেতে দিতে রাজি হননি তানিয়ার আত্মীয়রা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে না নেওয়ায় অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন হৃদয়। স্বামীকে ছটফট করতে দেখে তানিয়াও বিষ পান করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।