নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীতে ঢাকা কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের সংঘর্ষে আরও এক বিক্রয়কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভৌর পৌঁনে পাঁচটা নাগাদ (বাংলাদেশ সময় অনুসারে) তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মুরসালিন (২৫)। নিউ সুপার মার্কেটে একটি রেডিমেড কাপড় তৈরির দোকানে তিনি কাজ করতেন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। নাহিদ নামে একজনের আগেই মৃত্যু হয়েছে। তিনি ডি-লিংক নামে এক কুরিয়ার সংস্থার ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতেন। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও দুই শিক্ষার্থীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত খাবারের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে। ঢাকা কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া নিউ মার্কেট এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। আচমকাই ওই হোটেলের কর্মীরা পড়ুয়াদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর পৌঁছে যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ওই দিন রাতেই ক্যাম্পাস থেকে পড়ুয়ারা এসে দোকানের ওপর হামলা চালায়। দু পক্ষের মধ্যে কয়েকঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। কিন্তু পরিস্থিতি তাতেও নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুলিশ গুলি চালায়। সংঘর্ষে ৪০ জন পড়ুয়া জখম হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও আক্রান্ত হন।
পডু়য়াদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে নানা প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।
আরও পড়ুন পড়ুয়া-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ঢাকা,পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালাল পুলিশ