নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: জঙ্গি দমন অভিযানে বড় সড় সাফল্য পেল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। সোমবার ভোরে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের শেষে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী তথা বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গত কযেক মাস ধরেই কক্সবাজারের উখিয়া ও রাঙ্গামাটিতে ঘাঁটি তৈরি করে নয়া সদস্যদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া।’ জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) জীবন সিংহের সঙ্গেও বিশেষ চুক্তি করেছে জামাতুল আনসারের শীর্ষ নেতারা। সীমান্ত পেরিয়ে এসে দেশে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দিচ্ছে কেএলওর কুখ্যাত জঙ্গিরা।
র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ‘জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ নেতারা ডেরা বেঁধেছেন বলে গোপন সূত্রে খবর পৌঁছয়। সেই খবর পেয়ে এদিন ভোরে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায় র্যাবের সদস্যরা। আচমকাই গুলি ছুড়তে শুরু করে জামাতুল আনসারের জঙ্গিরা। জবাব দিতে পাল্টা গুলি ছোড়ে রাব সদস্যরাও।দুপক্ষের মধ্যে তুমুল গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত জামায়তুল আনসারের সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার বিশ্বস্ত সঙ্গী তথা বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে গ্রেফতার করতে সফল হয় র্যাব সদস্যরা।’