নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক মারণ ব্যধির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্ধুব্ধ করার দায়িত্ব ছিল তাঁর। অথচ সেই তিনিই বাল্যবিয়ের মতো লজ্জাজনক ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেন। আর সেই দুষ্কর্ম করার দায়ে শেষ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত হতে হল চুয়াডাঙ্গার শিক্ষিকা শামসুন নাহারকে। নিজের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার বাসিন্দা আসোক আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শারমিন খাতুনের সঙ্গে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামসুন নাহারের ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ে হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই বাল্যবিয়ে দেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন নাহার। বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও রবিবার প্রকাশ্যে আসে। আর তার পরেই হইচই শুরু হয়। ছেলের বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্বীকারও করেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আর তার পরেই নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাল্যবিয়ের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা আধিকারিক মাসুমা আক্তারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সোমবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামসুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।