নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর শুরুর দিন থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি। অভিযোগ, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের কোণঠাসা করতে একের পর এক মন্দিরে হামলা চালানো হচ্ছে। অষ্টমীর রাতেই বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে ফেলারও ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও হয়েছে। আর এই সমস্ত অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে হাসিনা সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, যে বা যারা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কোনওভাবেই রেয়াত করবে না বাংলাদেশ প্রশাসন। কিন্তু এইসব কিছুর মাঝেই শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন আবারও নোয়াখালিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের নোয়াখালিতে অবস্থিত একটি ইসকন মন্দিরে শুক্রবার দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। মন্দিরের কিছু জিনিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ করা হয়েছে ইসকনের তরফ থেকে। এমনকি মন্দিরে চড়াও হওয়া দুষ্কৃতীরা ওইসময় মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মারধরো করেছে বলে অভিযোগ করেন ইসকন মুখপাত্র।
এই ঘটনার পরেই নোয়খালির ইসকন মন্দিরের তরফ থেকে একটি টুইট করে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দির ও ভক্তদের উপর আজ একটি হিংস্র হামলা হয়েছে। এই হামলায় মন্দিরের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এবং একজন ভক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সকল হিন্দুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি।’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে। বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় একাধিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে দুর্গা প্রতিমা ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। সেইসব ভিডিওও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মণ্ডপের প্রতিপা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিও এই অশান্তির পিছনে কারা রয়েছেন তাঁদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু তারপরেও শনিবার এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামে ৬ ঘণ্টার বনধ পালন করছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন।