এই মুহূর্তে




শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসাবে রাজাকার সন্তানকে নিয়োগ দিল ইউনূস সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে প্রহসনের পর প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। বঙ্গবন্ধু কন্যার বিচারের দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছে রাজাকার পরিবারের সন্তান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের হাতে। প্রধান কৌঁসুলি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে রাজাকার তাজুল ইসলামকে কৌঁসুলির দায়িত্ব পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের কুখ্যাত গণহত্যাকারীর সন্তান গাজী এইচ তামিম। আর এবার দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাজাকার পরিবারের সন্তান আমিনুল গণি টিটুকে। আইনজীবী মহলে যিনি জামায়াত শিবিরের লোক হিসাবেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, গত বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছিলেন টিটু। যিনি নিজেই শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তাকে কীভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হয়ে আইনি লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা।

তিনি যে রাজাকার পরিবারের সন্তান তা স্বীকার করে নিয়েছেন শেখ হাসিনার আইনজীবী জিসাবে নিয়োগ পাওয়া আমিনুল গণি টিটু। যদিও রাজাকার পরিবারের সন্তান হওয়া তাঁর কাছে লজ্জার নয় বরং গর্বের বলে দাবি করেছেন জামায়াত ইসলামীর রোকন (সদস্য) এই আইনজীবী। সাংবাদিকদের তিনি সদর্পে বলেছেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানিকগঞ্জে আল শামস বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। ইসলাম ধর্ম বাঁচাতে ও পাকিস্তান ভাঙা রুখতেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজাকার হয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি।’ রাজনৈতিক পালাবদলের পরে যেখানে তিনি শেখ হাসিনার ফাঁসি দাবি করেছেন সেখানে তিনি কীভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হয়ে আইনি যুক্তি উপস্থাপন করবেন তা জানতে চাইলে খোলাখুলিভাবে আমিনুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে বাঁচাতে আমি আইনি যুক্তি দাঁড় করাব, তা ভাবলেন কীভাবে? দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ফাঁসির দাবিই জানাব। সরকার এই কারণেই আমাকে নিয়োগ করেছে।’

আমিনুল গণি টিটুকে দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর কথায়, ‘বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। বর্তমান ইউনূস সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে ‘বিচারিক প্রহসন’ চালাচ্ছে। একদিকে নির্বিচারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, অন্যদিকে আদালতে তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর ন্যূনতম সুযোগও দিচ্ছে না। আইনজীবীদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। যে কেউ রাজবন্দিদের পক্ষে দাঁড়াতে গেলেই তাকেও গায়েবি মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, এমনকি মব লিঞ্চিং পর্যন্ত হচ্ছে।আমার মায়ের পক্ষেই সরকার একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছে, যিনি অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলেন।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভারতের নির্বাচন কমিশনকে কালো তালিকাভুক্ত করল ইউনূস সরকার

 মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ মোল্লা ইউনূসের

ক্ষমতায় বিএনপিকে চান বাংলাদেশের ৩৯ শতাংশ তরুণ, বলছে জনমত সমীক্ষা

আইসিইউতে জনপ্রিয় গায়িকা ফরিদা পারভীন, ইউনূস সরকারের সাহায্য নিতে অস্বীকার

বদলের বাংলাদেশে দেড় বছরের শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ

থানায় ঢুকে কনস্টেবলকে ‘স্যার’ বলে পাকড়াও ভুয়ো এসআই, ঠাঁই শ্রীঘরে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ