এই মুহূর্তে




শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লির উপরে চাপ তৈরিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে দিল্লির উপরে চাপ তৈরি করতে এবার আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে মোল্লা ইউনূসের সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বিকল্পের কথা জানিয়েছেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়। দিল্লিকে কি করে টাইট দিতে হয়, তা আমার জানা আছে। ভালয়-ভালয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে না ফিরিয়ে দিলে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হব। শেখ হাসিনার ভারত প্রেম ঘুচিয়ে দিতে যা যা করার তা করব।’

গত বছরের জুলাইয়ে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবারই (১৭ নভেম্বর) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যদিও ওই রায় নিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মনে করছেন, ‘রাজাকারদের ফাঁসির প্রতিশোধ নিতেই তড়িঘড়ি করে বঙ্গবন্ধু কন্যার মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।’

ফাঁসির সাজা ঘোষণার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও রায়ের কোনো কপি পাঠানো হবে না। শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণার ৭২ ঘন্টা বাদে এদিন বৈঠকে বসেছিল উপদেষ্টা পরিষদ। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দেওয়ায় ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল-সহ পাকিস্তানি দোসর সাত উপদেষ্টা। জবাবে খানিকটা হেসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলেন ইউনূস। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘শেক হাসিনা আমায় জেলে পুরতে চেয়েছিলেন, আমি ওর গলায় ফাঁসির দড়ি ঝোলানোর ব্যবস্থা করেছি। মতিউর রহমান নিজামী-সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো পাকিস্তানপ্রেমীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর বদলা নিতে পেরেছি। এখন মরে গেলেও শান্তি পাব।’ বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানতে চান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যপর্ণের দাবি জানিয়ে দিল্লিকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা। জবাবে বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, চিঠির খসড়া তৈরির কাজ চলছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রত্যর্পণের জন্য আমরা ভারত সরকারকে চিঠি দিচ্ছি। শেখ হাসিনার এখন দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামি, তাই আমরা মনে করি ভারতের এখন বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাদের ফেরত দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য। এই দায়িত্ব পালনে ভারত যেন আমাদের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তার দায়বদ্ধতা পালন করে সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভারতকে আমরা চিঠি দিচ্ছি।’ দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফেরাতে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে দিল্লি কি করে, তা দেখে নিতে চাই। তার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাব।’

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভূমিকম্পে ঢাকায় কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু

২৫৬ কোটির শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে ফের সাকিবকে তলব দুর্নীতি দমন কমিশনের

‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করি না’, ডোভালকে বার্তা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি লিটন দাসের

ছিনতাই করতে গিয়ে খেতে হল মহিলার ঘুষি, ভয়ে অস্ত্র ফেলে চম্পট ছিনতাইকারীদের

হাসিনার‌ সিদ্ধান্ত বাতিল, তদারকি সরকার ব্যবস্থা ফেরাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ