নিজস্ব প্রতিনিধি: এখানে একসঙ্গে আরাধনা হয় তিনটি বিগ্রহের। এখানে দেবী দুর্গা চতুর্ভূজা। মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার পশলা গ্রামে বছরের পর বছর একই রীতি মেনে হয় আরাধনা। এই পুজো (DURGA PUJA) প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের প্রাচীন। এখানে দেবীর বাহন ব্যাঘ্ররূপী সিংহ।
পুজো পরিচিত বুড়িমা’র পুজো নামেই। আবার রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ির পুজো নামেও পরিচিত। জনশ্রুতি, প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে গ্রামের এক জায়গায় ছিল উঁচু ঢিবি। সেই ঢিবি ছিল জঙ্গল ঘেরা। সেখানেই ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজোর প্রচলন করেছিলেন সন্ন্যাসিনী। তারও আগে তিনি পঞ্চমুন্ডির আসন স্থাপন করে শুরু করেছিলেন সাধনা। সন্ন্যাসিনী তাঁর মৃত্যুর আগে পশলা এলাকার জমিদার মথুরানাথ রায়চৌধুরীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুজো চালিয়ে যাওয়ার। সেই পুজোই হয়ে আসছে বংশপরম্পরায়।
জনশ্রুতি, এইভাবে ঘট পুজো হলেও জমিদার পরিবারের এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দেবীর। স্বপ্নাদেশ ছিল, মূর্তি তৈরি করে আরাধনা করার। তারপর থেকেই প্রচলন হয় মূর্তিপুজোর।
তবে তিনটি বিগ্রহ কেন? রায়চৌধুরী পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীশ চন্দ্র রায়চৌধুরী এবং গিরিশ রায়চৌধুরী- এই দুই শরিকের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয়েছিল। তারপর থেকেই পঞ্চমুণ্ডী বেদীর দুই পাশে তৈরি করা হয় আরও দু’টি বেদী। তবে প্রতি বিগ্রহই চতুর্ভূজা। বেদীতে তিন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয় ষষ্ঠীর দিন। আর এভাবেই পুজোর ক’দিন চলে আরাধনা।