নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণে কার্যত নাস্তানাবুদ দেশ। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ১৪ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। শনাক্তের হারও ৩২ শতাংশের বেশি। তার মধ্যেই দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গবেষকরা। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘দেশে করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতি ওমিক্রনের তিনটি উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে। ওই উপ ধরনের সঙ্গে আফ্রিকা, ইউরোপ-আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিল রয়েছে।’ শুধু তাই নয়, রাজধানীতে যাঁরা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৬৯ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
আইসিডিডিআর (বি)-এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬৯ শতাংশের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। মারণ ভাইরাসের অতি সংক্রামক প্রজাতিতে আক্রান্তদের ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জনের মৃদু উপসর্গ কিংবা কোনও উপসর্গও ছিল না। ২৪ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েও প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। একজন বুস্টার ডোজও নিয়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল একজনকে।’
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। নতুন করে আরও ১৪ হাজার ৮২৮ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এ নিয়ে করোনার বলি হলেন ২৮ হাজার ২৩৮ জন। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।’