নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ আটশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর হারও কমেছে। মারণ ভাইরাসের ছোবল কেড়েছে ১১ জনের প্রাণ। পাশাপাশি শনাক্তের হারেও সামান্য উন্নতি ঘটেছে। পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৭ জন। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে শীর্ষেই রয়েছে কলকাতা।
বুধবারই রাজ্যে মারণ ভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আটশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে সামান্য হলেও উদ্বেগ বেড়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিছুটা স্বস্তির খবর বয়ে আনল স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক করোনা বুলেটিন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭৫৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ১২ হাজার ৭৪১ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। একই সময়ে মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৪৩০ জন।’
সুস্থতার হারও লাগাতার স্বস্তি দিয়ে চলেছে। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭৪ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৪৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়ে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ২৭টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৬৭ জনে।’
কলকাতা মহানগরীর করোনা পরিস্থিতি অবশ্য উদ্বেগ কাটাতে পারছে না। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৫ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন দুই জন। পার্শ্ববর্তী উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।