নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ ঘন্টাও স্থায়ী হল না স্বস্তি। রাজ্যে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ ফের আটশোর গণ্ডি ছাড়াল। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৯ জন। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। তবে সুস্থতা ও শনাক্তের হার সামান্য হলেও স্বস্তি দিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার যেমন বেশি তেমনই শনাক্তের হার-ও কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে। একদিনে ১৫৩টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৮১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশে। রাজ্যে মারণ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৫ হাজার ৭৯৪ জনে। একই সময়ে করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৩৩৩ জন।’
দৈনিক সংক্রমণে রাজ্যে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩১ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যেমন কলকাতা শীর্ষে, তেমনই মারণ ভাইরাসের ছোবলে দৈনিক প্রাণহানিতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৮ জন।
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার ও অ্যাকটিভ কেস সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘একদিনে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২৫ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪৩৪ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ দশমিক ৩০ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ২০টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৭ জনে।