নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিধি-নিষেধ জারি করেও দেশে করোনাভাইরাসের সুনামি প্রতিহত করা গেল না। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩ জন। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে এটাই সর্বোচ্চ শনাক্তের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়। মারণ ভাইরাসের ছোবলে একদিনে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ১৮ জন। পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আগামিকাল বুধবার থেকে আরও কড়া বিধি-নিষেধ চালু হতে পারে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই আচমকাই দেশে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় তিন অঙ্ক থেকে পাঁচ অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছে। গত কয়েকদিনে দৈনিক সংক্রমণ ৭০ গুণের বেশি বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের তাণ্ডব রুখতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সোমবার থেকেই ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে। মাস্ক না পরার কারণে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘’গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে আরও ১৬ হাজার ৩৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জন। শনাক্তের নিরিখে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬ হাজার ২৩০ জন। যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের ছোবলে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনার বলি হলেন ২৮ হাজার ২৫৬ জন। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশে। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে।’