মুম্বই: ভারতে এবার থাবা বসাল করোনার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন XE প্রজাতি। পাশাপাশি করোনার কম্পা প্রজাতির এক রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে বৃহন্মুব্বই মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে একজনের রিপোর্ট XE পজিটিভ আসে। সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনার XE প্রজাতির দেখতে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, মুম্বইয়ে ২৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনা সেরো সমীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি। তবে কারও অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। তাঁদের মধ্যে কাউকে আইসিইউতেও ভর্তি করতে হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, XE প্রজাতি ওমিক্রমনের থেকে ১০ গুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওমিক্রনের দুটো উপপ্রজাতি BA.1 ও BA.2-এর সংমিশ্রনে XE প্রজাতি তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগের XE প্রজাতির বিষয়ে ভারত সরকারকে সাবধান করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, গত বছর ডেল্টার সংক্রমণের যে প্রভাব পড়েছিল ভারতে, সেই ধরনের প্রভাব XE সংক্রমণের ফলে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের সাবধানবানীকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়। যার ফল স্বরূপ ভারতে থাবা বসাল XE। ভারতে করোনার প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময় বাণিজ্যিক দিকটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর ফল হয় মারাত্মক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারত জুড়ে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড, ওষুধের হাহাকার দেখা দেয়। বহু করোনা রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। অনাথ হয়ে যায় বহু শিশু। ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।