নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: করোনাভাইরাসের বেনজির তাণ্ডবে কার্যত লণ্ডভণ্ড দেশ। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ছয় হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালতেও থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বুধবার থেকে ফের ভার্চুয়াল শুনানি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও ভার্চুয়ালি বসেছিল আদালত।
গত কয়েকদিন ধরেই করোনায় একের পর এক বিচারপতি ও বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। বিচারকের অভাবে কার্যত বিচারকার্য স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এক মামলার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জানান, ‘হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অনেক আধিকারিক-কর্মচারী। নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনায় আক্রান্ত, এমন অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। চারদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।’
প্রধান বিচারপতির ওই মন্তব্যের পরেই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, ‘বুধবার থেকেই ফের ভার্চুয়ালি আদালত বসবে।’