নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তেই ফের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। তারাপীঠ মন্দিরে নিয়ন্ত্রণ করেই ভক্তদের প্রবেশের ছাড়পত্র দিয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা না শুনেই ও মাস্ক না পরেই মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমাচ্ছিল ভক্তরা। হোটেলে চাপ বাড়ছিল। তাই রবিবার থেকেই তারাপীঠে হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের কথা বলা হয়েছে। সেই কারণেই ৪ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ, তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি ও মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়রা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে জরুরী বৈঠক করেন।
সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, করোনার রুখতে তারাপীঠে হোটেল বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি ব্যবসা বন্ধের পথে হাঁটেননি। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই ও করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি জানিয়েছেন, ‘তারাপীঠে বহু হোটেল রয়েছে যারা ব্যাংকের ঋণ ঠিকঠাক মেটাতে পারে না। তাদের কথা ভেবেই হোটেল বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা যে গতিতে বাড়ছে তাতে আমরা হোটেল বন্ধ করতে বাধ্য হলাম।’
করোনার জন্যই কিছুদিন আগেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি ভক্ত তারাপীঠ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্থানীয়রা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। কিন্তু করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত সমস্ত হোটেল একসপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুর থেকেই বীরভূম জেলার পাঁচ পুরসভা দুপুরের দিকে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। শনিবার দুপুর দুটোর পর থেকে পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকাল ছ’টা পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোলপুর পুরসভা। রবিবার সেই পথে হেঁটেছে সাঁইথিয়া এবং দুবরাজপুর পুরসভাও। সেখানেও দুপুর দুটো থেকে পরদিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত দোকানপাট রেস্তোরাঁ এবং শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাটে ওই বিধি জারি হয়েছে বেলা তিনটে থেকে পরদিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত।