নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের করাল থাবা থেকে মুক্ত হচ্ছে বাংলা। গত ২৪ ঘন্টায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৮৯ জন। শুধু দৈনিক সংক্রমণই নয়, দৈনিক মৃত্যুও স্বস্তি দিচ্ছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন একজন। সংক্রমণ হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে। অর্থাৎ প্রতি ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যে নতুন করে আছড়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। গত সপ্তাহে দুশোর গণ্ডিতে ঘোরাফেরা করছিল মারণ ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় তা একশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৭ হাজার ৬৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে। যার ফলে মাত্র ৮৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২১ হাজার ১৭৬ জন।’
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগনাকে টপকে ফের শীর্ষে উঠে এসেছে কলকাতা। মহানগরীতে নতুন করে আরও ১৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন বাদে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। একমাত্র প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনায়।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৪ জন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ১০৩ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৮৬ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১১৬টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২৮ জনে।’