নিজস্ব প্রতিনিধি: হাজারের গণ্ডি না ছুঁয়ে ফের আটশোর ঘরে ফিরে এলো করোনার দৈনিক সংক্রমণ। যদিও তাতে স্বস্তির কিছু নেই। কেননা গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়াতেই দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮০৫ জন। তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। নতুন করে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১১ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার কোভিড চিত্র অবশ্য উদ্বেগেই রাখছে। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় ২২৯ জন ও উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
উৎসবের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শনিবার ও রবিবার দৈনিক সংক্রমণ হাজারের ঘর ছোঁয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ফলে উদ্বেগ বাড়ছিল চিকিৎসক মহলে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চালুর পথেও হেঁটেছে প্রশাসন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন কোনও স্বস্তির খবর বয়ে আনতে পারেনি। বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে ২৯ হাজার ১০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৮০৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৬০ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশে। আরও ১১ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ায় রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৬৬ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার সামান্য বেশি। মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৩২৫ জন। সুস্থতার হার ক্রমশ কমছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৩০ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ১৩টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯ জনে।’