নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় দলের কর্মসূচির জন্য গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই কর্মসূচির জেরেই খোয়াই থানার তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের এই মুখপাত্রকে। সেই নোটিসের জেরেই এদিন ত্রিপুরায় খোয়াই থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে চেয়েছিলেন কুণালবাবু। কিন্তু তার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আর খোয়াই থানায় যেতে পারেননি। বিষয়টি তিনি ত্রিপুরা পুলিশকে জানাতে তাঁকে বলা হয় আগরতলা এনসিসি থানায় হাজিরা দিতে। সেখানেই এখন রয়েছেন কুণালবাবু। তবে তাঁর ঠিক কী হয়েছে তা জানা যায়নি।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কুণাল ঘোষকে ত্রিপুরা পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছিল খোয়াই থানায়। কার্যত তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই কারনেই মঙ্গলবার সকালে ত্রিপুরা যান কুণাল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি অসুস্থ বোধ করায় বিষয়টি ত্রিপুরা পুলিশকে জানান। সঙ্গে এটাও জানান, খোয়াই থানায় এই অবস্থায় যেতে তিনি অপারগ। তখন ত্রিপুরা পুলিশ থেকেই তাঁকে আগরতলার এনসিসি থানায় যেতে বলা হয়। সেই মতো কুণালবাবুও সেখানে পৌঁছান। সেখান থেকেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন কুণালবাবু। উল্লেখ্য, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ-সহ ৬ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়। তলবের ১০ দিনের মধ্যে কুণাল ঘোষকে হাজিরা দিতে বলা হয়৷ তখনই কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন ৩ দিনের মধ্যে হাজিরা দেবেন৷ রবিবার রাতে খোয়াই থানার পুলিশ আধিকারিককে ফোন করেন কুণালবাবু৷ তখনই মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার কথা জানান তিনি৷