নিজস্ব প্রতিনিধি : জানেন কি, বায়ুদূষণ ডায়বেটিসের একটি কারণ হতে পারে। সম্প্রতি মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি মেডিক্যাল জার্নালে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাতাসে যে ২.৫ পলিমাইক্রোম ধুলিকণা ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটিই ডায়বেটিসের কারণ হতে পারে। কিভাবে এই ধুলিকণা মানুষের দেহে মধুমেহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে, সেই বিষয়টিও ব্যাখ্যা করা হয়েছে মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে। সারা বিশ্বে যত জন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ২০ শতাংশ বায়ুদূষণের কারণে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় যেখানে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি, সেখানে টাইপ ২ ডায়বেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা আগামীদিনে বাড়বে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মেডিক্যাল রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শহরাঞ্চলে বাতাসের মধ্যে সবচেয়ে ২.৫ পলিমাইক্রোম ধুলিকণা ভেসে বেড়াতে দেখা যায়, যেটা বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। প্রতি মাসে যেভাবে বাতাসে এই ধুলিকণার মাত্রা বাড়ছে, তা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এভাবে যদি এক বছর ধরে লাগাতার এই ধুলিকণার পরিমাণ বাড়তে থাকে, তাহলে তা টাইপ ২ ডায়বেটিস রোগের কারণ হতে পারে। বায়ুদষণের ফলে ডায়াবেটিস রোগ সৃষ্টি হওয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে।
সারা বিশ্বে ৫৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ টাইপ ২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। এদের মধ্যে অর্ধেক মানুষ জানেন না, তাঁরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশের মধ্যে ভারতে ১৮ বছরের বেশি বয়সি ৭ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। পাশাপাশি ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ প্রিডায়বেটিক পর্যায়ে রয়েছেন।
রাজধানী দিল্লি সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বাধিক। ২০১৮ সালের পর থেকে সারা বিশ্বে এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানী শহরের মধ্যে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩৪টি দেশের মধ্যে ভারতের বাতাসের গুণগত মান খুব খারাপ। এই প্রেক্ষাপটে মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই রিপোর্ট যে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাডাবে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।