এই মুহূর্তে




‘সন্ত্রাসী হামলায় ২০,০০০ ভারতীয় নিহত হয়েছে’, জাতিসংঘে পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা ভারতের




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। ২২ এপ্রিল শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছিল। হিন্দু পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন স্থানীয় এক মুসলিম পনিচালক। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। তার মধ্যে একটি ছিল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত।

শনিবার পহেলগাঁও নিয়ে জানিসংঘে পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পার্বথানেনি হরিশ বলেন যে, ‘সন্ত্রাসের বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রস্থল’ পাকিস্তান যতক্ষণ না আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৬৫ বছরের পুরনো জলচুক্তি স্থগিত থাকবে। এর জবাবে পাকিস্তানি প্রতিনিধি জাতিসংঘে বলেন, “জলই জীবন, যুদ্ধের অস্ত্র নয়”।

ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি ২৩শে এপ্রিল স্থগিত করে। ঠিক তার একদিন আগেই হয় পহেলগাঁও হামলা। এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের পূর্ণ সংযোগ খুঁজে পাওয়ার পর নয়াদিল্লি এই পদক্ষেপ নেয়।

এদিন জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে হরিশ বলেছেন, “একটি নদীমাতৃক দেশ হিসাবে ভারত সর্বদা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছে।” এরপরেই তিনি এমন চারটি বিষয় তুলে ধরেন যা পাকিস্তানের স্বরূপকে বিশ্বের দরবারে উন্মোচিত করে।

প্রথমত, ভারত ৬৫ বছর আগে গভীর বিশ্বাস নিয়ে সিন্ধু জল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। সেই চুক্তির প্রস্তাবনা বর্ণনা করে যে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সাড়ে ছয় দশক ধরে পাকিস্তান ভারতের উপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

পার্বথানেনি হরিশ এই প্রসঙ্গ ব্যাখা করে বলেছেন, গত চার দশকে সন্ত্রাসী হামলায় ২০,০০০ এরও বেশি ভারতীয় নিহত হয়েছেন। ভারত এই সময়কালে তার ‘অনন্য ধৈর্য এবং উদারতা’র পরিচয় দিয়েছে। হরিশের কথায়, “পাকিস্তানের মদত পেয়ে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ভারতে সাধারণ মানুষের জীবন, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বারবার আঘাত করতে চেয়েছে।”

দ্বিতীয়ত, এই ৬৫ বছরে সুদূরপ্রসারী মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। কেবল আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই নয় বরং শক্তি উৎপাদন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে।

জল ব্যবহারের নিরাপত্তা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য বাঁধের অবকাঠামোর প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। কিছু পুরনো বাঁধ গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগের সম্মুখীন হচ্ছে। পাকিস্তান এই অবকাঠামোতে যে কোনও পরিবর্তন আনতে চাইলে বারবার বাধা তৈরি করছে। সেই প্রসঙ্গে হরিশ ২০১২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্পে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চলিয়েছিল।

চতুর্থত, এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে ভারত বাধ্য হয়ে শেষে ঘোষণা করেছে যে সন্ত্রাসবাদের বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রস্থল হল পাকিস্তান। তাই তারা যতদিন না সন্ত্রাস সমর্থন বন্ধ করবে, ততদিন পর্যন্ত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থাকবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘প্রত্যেক আমেরিকান আমাদের লক্ষ্যবস্তু’, মার্কিন হামলার পর ইরানি গণমাধ্যমের বড়সড় সতর্কবার্তা

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রভাব ভারতীয় বাণিজ্যে, প্রবল ক্ষতির আশঙ্কায় চাল ব্যবসায়ীরা

ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোয় ‘গডফাদার’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন নেতানিয়াহুর

ইরানের ৩ পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা আমরিকার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণদুন্দুভি বাজালেন ‘খ্যাপাটে’ ট্রাম্প

সত্যিই কী জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তানের জন্ম হয়, বিজ্ঞান কী বলছে?

বোকারোতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেলেও ‘মূল মাস্টারমাইন্ড’ পলাতক, খুঁজছে পুলিশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ