নিজস্ব প্রতিনিধি, কাটরা: মাতা বৈষ্ণোদেবীকে দর্শন করে ফেরার পথে চলন্ত বাসে আগুন লেগে যাওয়ায় পুড়ে ছাই হয়েছেন চার পূণ্যার্থী। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ২০ জন। আহতদের ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বাসে কীভাবে আচমকা আগুন লেগে গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, অত্যধিক গরমের কারণে ইঞ্জিন থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মাতা বৈষ্ণোদেবীকে দর্শন করে বাসে চেপে কাটরা থেকে জম্মু ফিরছিলেন পূণ্যার্থীরা। মাতাজীকে দর্শন করে খুশি মনেই ফিরছিলেন। কিন্তু আচমকাই বিপত্তি। কাটরা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কাড়মাল কাটরার শনি মন্দিরের কাছে আচমকাই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। কেউ কিছু বোঝার আগে পুরো বাসটি দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই কাঁচের জানলা ভেঙ্গে ঝাঁপ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচতে বাসের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ২৩ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃতউ হয়েছে। কাটরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভাসিন জানিয়েছেন, ‘আহতদের উদ্ধার করে কাটরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।’