নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা: যে প্রধানমন্ত্রী মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে লম্বা-চওড়া ভাষণ দেয়, তার দল গণতন্ত্রে কতটা বিশ্বাস করে তার আরও একবার প্রমাণ মিলল। ত্রিপুরা পুলিশ এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পাশাপাশি চলে শারীরিক হেনস্থা। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে নানা প্রান্ত থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। কী কারণে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী, এই খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি। বলা হয়নি এটাও তাকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বিজেপির শাসনামলে সংবাদমাধ্যম, তা বৈদ্যুতিন হোক বা খবরের কাগজ, স্বাধীনতা সর্বোতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এখানেই শেষ নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ সরকার-বিরোধী মন্তব্য করলে তার ওপর নেমে আসে রাষ্ট্রের কোপ। সরকারের চোখে সে দেশদ্রোহী। সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে একটি মামলাও রুজু হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইন এখনও কেন রেখে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মোদি সরকার এই ধারা বলবৎ রাখার পক্ষেই। কারণ, এই ধারা থাকলে যে কোনও সময়ে যে কোনও ব্যক্তি, যিনি সরকার বিরোধী কথা বলবেন, তাকে গ্রেফতার করার পথ সহজ হবে। সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানিতে সরকারের তরফ থেকে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কেন্দ্র এই আইন পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতে এবার ত্রিপুরায় এক সাংবাদিক হেনস্থার শিকার হলেন।