নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশে যখন দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী, স্কুল-কলেজে পডু়য়ারা যাওয়া-আসা শুরু করেছে, যাচ্ছেন মাস্টারমশাই দিদিমনিরা, সেই সময় এক রিপোর্ট তৈরি করল উদ্বেগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুলের পোশাক তৈরিতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা করোনা ভাইরাসকে চুম্বকগতিতে আকর্ষণ করে। বিশেষ করে সুতির তৈরি পোশাক। আর সেই সব পোশাক যেগুলি ১০০ শতাংশ সুতো দিয়ে তৈরি করা হয়।
এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুলের পোশাক তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ একটি রাসায়নিক পার অ্যান্ড পলিফ্লুওরোয়াল্কিল (per- and polyfluoroalkyl)। স্কুলের পোশাক ছাড়া এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় বর্ষাতি, টুপি, সাঁতারের পোশাক তৈরিতে। বৃষ্টির জল বা রোদের প্রখর তাপ থেকে চামড়াকে বাঁচাতেই স্কুলের পোশাক তৈরি করতে এই রাসায়নিকের সাহায্য নেওয়া হয়। আর সেই পোশাক যে করোনা ভাইরাসকে চুম্বক গতিতে আকর্ষণ করে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, স্কুলের পোশাকে ব্যবহৃত রাসায়নিক করোনা ভাইরাসকে কতটা আকর্ষণ করে, তা পরীক্ষা করতে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গ্রাহাম পিয়াসলি জানিয়েছেন, স্কুলের পোশাকে ব্যবহৃত রাসায়নিক যে করোনা ভাইরাসকে চুম্বক গতিতে আকর্ষণ করে, সেটা দেখে আমরা রীতিমতো বিস্মিত হয়েছি। আর এই পোশাক বছরের পর বছর ব্যবহার করার ফলে শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। অ্যাজমা, মোটা হয়ে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।