নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে পুরভোট। তার আগেই সোমবার শেষবেলার প্রচারে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির। কিন্তু সেই ভোটের আগেই ফের আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কিংবা কর্মীরা। সায়নী ঘোষ থেকে কুণাল ঘোষ কিংবা সুবল ভৌমিক বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর হাতে আক্রান্ত প্রত্যেকেই। থানার ভিতরে রবিবার বিজেপির তরফে হামলা চালানো হলেও কার্যত নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায় পুলিশকে। যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল ও খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এটা আগামী সোমবার অভিষেকের সভাকে বানচাল করার জন্যই বলে মনে করছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুস্মিতা বলেছেন, ‘আগামিকাল আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রচারে আসবেন। তার আগে আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতেই বিজেপি শাসিত সরকারের পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। ত্রিপুরার মানুষকে প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের লড়াই চলছে চলবে। আগামী ২৫ নভেম্বর ভোট। তার আগে শেষ রবিবারে তৃণমূল প্রার্থীরা যাতে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ভোট না চাইতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে।’ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফে এইভাবেই আক্রামণ চালিয়ে জোর করেই ছাপ্পা মেরে ভোটে জেতে বিজেপি। সেই একই পন্থা একুশের পুরভোটে করার চেষ্টা করলেও রুখে দিয়েছে তৃণমূল।
ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব এও জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার সভা বানচাল করতে নানা ছক খুঁজছে বিজেপি কর্মীরা। তাতে সহযোগিতা করছে পুলিশ। কিন্তু সভা হবেই।