নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় পুরভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই মারমুখী হয়ে উঠছে বিজেপি। গত শনিবার থেকে দাঁত-নখ বার করে হামলা চালাচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। আর সেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গেলে নয় হামলা নয় মামলা করা হচ্ছে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কিংবা কর্মীদের। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথসভা বাতিল হয়েছে। গভীর রাতে স্ট্রিট কর্নার করার অনুমতি দিলেও তা করতে নারাজ অভিষেক। ত্রিপুরায় এহেন নৈরাজ্য চালানো নিয়ে বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেক। সোমবার আগরতলায় পৌঁছে অভিষেক বলেছেন, ‘চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে এ রাজ্যে। জঙ্গলরাজ চলছে। সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবীদের উপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আপনারা সব দেখছেন এখানে কী পরিস্থিতি। শুনেছি একটা পরিত্যক্ত ব্যাগ ছিল বিমানবন্দরে। আপানার যদি রাগ থাকে তা হলে আমার উপর প্রয়োগ করুন। সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসক, সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানো হচ্ছে কেন?’
অভিষেক এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমরা সিপিএম-কংগ্রেস নয়। যে হামলা করলে চুপ করে থাকব। তৃণমূল কংগ্রেস দমে যাওয়ার পাত্র নয়। সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে হবে। সেখানে মহিলা প্রার্থীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। টেবিলের তলায় পুলিশ লুকিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের মদতে এই কাজ হচ্ছে। পুলিশকে দোষারোপ করছি না। ওঁরাও পরিস্থিতির চাপে করছেন। আগরতলার মানুষের মান সম্মান রয়েছে। ওঁরা বিজেপি-র কাছে সেটা বিক্রি করবে না।’ সায়নীকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে অভিষেক প্রশ্ন করেছেন, ‘সায়নী কী দোষ করেছে যে ওঁকে গ্রেফতার করতে হল। উনি শুধু খেলা হবে স্লোগান দিয়েছেন। তার জন্য গ্রেফতার করতে হল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তো খেলা হবে বলেছিলেন। তা হলে তো ওঁকেও গ্রেফতার করা উচিত।’