নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে দিল্লির শাসকদেরই কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ জানালেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। শুধু চ্যালেঞ্জ জানানোই নয়, আগামী ২৪’র ভোটে সেই বিজেপিকে হারাতে তিনি এদিন নয়া শ্লোগানও বেঁধে দিলেন। বিজেপিকে বিঁধলেন, ‘দড়ি ধরে মারো টান, জমিদার হবে খান খান’, এই শ্লোগানে। সাফ জানালেন, ‘মানুষ ওদের ক্ষমতায় এনেছে। যা খুশি তাই করছে। রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম টিপে আপনাদের অধিকার ছিনিয়েছে ওরা। কিন্তু মনে রাখবেন, ওদের হাতে বোতাম থাকলে আপনাদের হাতেও ইভিএমের বোতাম আছে। আপনারাও এর জবাব দেবেন সেই বোতাম টিপে। দিল্লিতে বসে মোদী-শাহের জমিদারি বন্ধ করতে হবে। বিজেপি(BJP) সরকার হীরক রাজা। তাই দড়ি ধরে মারো টান, জমিদার হবে খান খান।’
এদিন অভিষেক তাঁর বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে নিশানা বানিয়েছেন বিজেপিকে, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারকে, নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) এবং অবশ্যই অমিত শাহকে(Amit Shah)। বলেছেন, ‘পঞ্চাশ জন বিধায়ক সাংসদকে আটকাতে, গতকাল থেকে প্রায় ৫ থেকে ১০ হাজার পুলিস, র্যাফ, দিল্লি পুলিশের আধিকারিক, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, সবাইকে রাস্তা নামিয়ে দিয়েছে। আজকেও আপনারা দেখেছেন, যুদ্ধের মতো, মনে হচ্ছে যেন ভারত-চিন যুদ্ধ হচ্ছে! একদিকে মণিপুর জ্বলছে, রোজ ধর্ষণ, হত্যা, একে পর এক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে চলেছে। আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমাতে, অমিত শাহের অধীনে যে কটা সংস্থা রয়েছে, CRPF, CISF, দিল্লি পুলিশ, সবাইকে নামিয়ে দিয়েছে। রেলের অনুমতি দিল না। সভার অনুমতি দিল না। রামলীলা ময়দানে অস্থায়ী শিবির তৈরি করার অনুমতি দিল না। গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে আমরা দেখা করতে চাইলাম। তার অনুমতি দিল না। মন্ত্রী দেখা করল না। তারপর সভাটা হল তো। আটকাতে তো পারেনি। আমাদের অনেক ধমকে ছিল, চমকে ছিল। বলেছিল, মমতা পুলিস নয়, দিল্লি পুলিস। ৬ ফুট দান্ডা রয়েছে। যাঁদের শিরদাঁড়াটা সোজা, আর মাথা আকাশের দিকে থাকে, নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায়, নির্লোভে মানুষের জন্য কাজ করে, তাঁদে ৬ ফুট দান্ডার কাছে মাথা নত করতে হয় না।’